তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কেরশাইল গ্রাম থেকে জনতা জুট মিলের এক নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩.০২.২) দুপুরে স্বামীর বাড়ি থেকে ওই নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে বিকেলে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে জয়নগর ফাঁড়ি পুলিশ। নারী শ্রমিক মোছা. রিক্তা বেগম (৩০) কেরশাইল গ্রামের জালাল মীরের ছেলে জুয়েল মীরের স্ত্রী। সে সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা জুট মিলে কাজ করতো। তার বাবার বাড়ি সালথা উপজেলার নকুলহাটি গ্রামে। তাঁর স্বামী জুয়েল মীর এক থেকে দেড় বছর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় জানা গেছে। রিক্তা ৪ বছরের একটি মেয়ে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতো।

এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত রিক্তা বেগম (৩০) বুধবার বিকেল শিফটের ডিউটি শেষ করে রাত সাড়ে দশটায় বাড়ি ফেরে। তারপরে সে তার শয়ন কক্ষে চলে যায়। সকালে তার দেবর সোহেলের স্ত্রী মাজেদা বেগম মৃতের ঘরে ফ্রিজ থেকে মাছ আনতে গিয়ে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে রিক্তাকে তার বিছানায় ঘুমানোর মত পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ওই দেবরের স্ত্রী চিৎকার দিলে তাদের শাশুড়ি রেবা খাতুন ঘরে ঢুকে দেখেন রিক্তার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে এবং সে মৃত।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল মোল্যা জানান, ওই নারী শ্রমিকের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই নারীর সোয়ার ঘরের বারান্দার কলাপশিকবল গেট ও ঘরের দরজা ভেজানো ছিল। ভিতর বা বার থেকে লাগানো ছিলনা। তাঁর নিকট (মেম্বার) এ মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে।

জয়নগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুব্রত বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার বিকেলেই ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে মৃতের নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা গেছে এবং গলার বাম দিকে সামান্য লাল কালচে দাগ দেখা গেছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, রহস্যজনক একটি মৃত্যু। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছেনা। কারণ নিহতের বিছানাপত্র সব ঠিক ছিল। কোথাও এলোমেলো কিছু পাওয়া যায়নি। আবার ঘরের দরজা ভিতর থেকে লাগানো ছিলনা। পুলিশ গভীরভাবে বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।